আসছে প্রজ্ঞাপন: থাকছে টাইম স্কেল বাদ পড়ছে সিলেকশন গ্রেড; ৫% হারে বেতন বৃদ্ধির বিকল্প আসছে। - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

আসছে প্রজ্ঞাপন: থাকছে টাইম স্কেল বাদ পড়ছে সিলেকশন গ্রেড; ৫% হারে বেতন বৃদ্ধির বিকল্প আসছে।

আসছে প্রজ্ঞাপন: থাকছে টাইম স্কেল বাদ পড়ছে সিলেকশন গ্রেড; ৫% হারে বেতন বৃদ্ধির বিকল্প আসছে।

Share This
প্রায় দুই মাস হতে চললো মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা নতুন অষ্টম পে-স্কেলের। এদিকে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের জন্য আন্দোলন করে আসছেন সর্বস্তরের শিক্ষক ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। অন্যদিকে সরকার চাচ্ছে অসন্তোষ ঠেকাতে। তাই টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড নিয়ে কাজ করছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। এই জন্য পে স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারির জন্য সময় নিচ্ছে মন্ত্রণালয়।



এদিকে পে-কমিশন ও সচিব কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দিয়েই নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাপের মুখে সরকার নিজের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসে।

এদিকে অর্থমন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, সিলেকশন গ্রেড বাদ রেখেই প্রজ্ঞাপনের সারসংক্ষেপ তৈরির কাজ চলছে। নতুন পে-স্কেলে টাইম স্কেল রাখার সম্ভাবনাই বেশি। তবে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দুই সুবিধাই রাখার দাবির পক্ষে না মন্ত্রণালয়। যেকোনো একটি বাদ পড়ছেই। বাদ পড়ার তালিকায় সিলেকশন গ্রেড রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল রাখা না রাখা নিয়েও ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে অর্থমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে দেশের লাখ লাখ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী। ইতোমধ্যে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে দাবি জানিয়েছে। সেখানে বলা হয়, বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলের কোনো সম্পর্ক নেই। চাকরিতে পদোন্নতি একটি সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু অনেক সময় চাকরির ধরনে ও প্রতিষ্ঠানের কাঠামো অনুযায়ী পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণেই টাইম স্কেল ও সিলেকশন সুবিধার প্রবর্তন হয়। বিগত সব পে-স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধা থাকলেও প্রস্তাবিত পে-স্কেলে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড একসঙ্গে রাখার পক্ষে নন বলে তিনি জানান। এর মধ্যে যেকোনো একটি বাদ দেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার পক্ষে মত দেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেকশন গ্রেড বাদ দিয়েই চূড়ান্ত করা হয়েছে পে-স্কেল। রাখা হয়েছে টাইম স্কেল। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কয়েক দফা বৈঠকও করেন। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর পরই বেতন কাঠামোটি (পে-স্কেল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গেজেট আকারে জারি করা হবে। এই জন্য নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে প্রজ্ঞাপন জারির সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া পে-স্কেল পর্যালোচনা কমিটি প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে শেষ পর্যন্ত তাও থাকছে না। এর বিপরীতে বিকল্প একটি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। নতুন বেতন কাঠামোতে যে ২০টি গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছিল তা বহাল থাকছে। গ্রেডের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।

সরকারি বিধিমালায় টাইম স্কেলের ব্যাপারে বলা হয়েছে, কোনো চাকরিজীবী ১৫ বছরেও কোনো কারণে পদোন্নতি না পেলে সে ক্ষেত্রে আট বছর পর একটি, ১২ বছর পর একটি এবং ১৫ বছর পর আরো একটি করে মোট তিনটি টাইম স্কেল পাবেন। প্রতিটি টাইম স্কেল পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীর বেতন স্কেল এক ধাপ ওপরে উন্নীত হয়। এতে করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী পদোন্নতি না পেলেও আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। বিশেষ করে সরকারি চাকরির ৬৫ শতাংশই ব্লকপোস্ট রয়েছে। যাদের পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ নেই। তারাই মূলত এর সুবিধাভোগী। ১৯৮১ সালে ক্যাডার সার্ভিসে টাইম স্কেল চালু হলেও ১৯৮৩ সালে তা নন-ক্যাডার পদেও চালু হয়। সিলেকশন গ্রেডের ব্যাপারে বিধিমালায় বলা হয়েছে, পদ না থাকা বা ভিন্ন কোনো কারণে একই স্কেলে সন্তোষজনকভাবে দীর্ঘদিন চাকরির পর অনেকে পদোন্নতি পান না। এ ধরনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নির্বাচিত কিছু ব্যক্তিকে কিছু শর্তসাপেক্ষে উচ্চতর স্কেল প্রদান করা হয়। এ পদ্ধতিকে সিলেকশন গ্রেড বলা হয়। সত্তর দশকে এ পদ্ধতি চালু হয়।

খবর: দৈনিক সমকাল

1 comment:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages