রুট করা এন্ডয়েড মোবাইলে Bricking (অচলাবস্থা ) এড়াতে কিছু পরামর্শ যা আপনার জানা অতীব জরুরী! - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

রুট করা এন্ডয়েড মোবাইলে Bricking (অচলাবস্থা ) এড়াতে কিছু পরামর্শ যা আপনার জানা অতীব জরুরী!

রুট করা এন্ডয়েড মোবাইলে Bricking (অচলাবস্থা ) এড়াতে কিছু পরামর্শ যা আপনার জানা অতীব জরুরী!

Share This
সবাইকে ইনফোটেকলাইপ.কম এর এন্ড্রযেড বিভাগ হতে স্বাগতম। আপনি আপনার শখের এন্ড্রয়েড ডিভাইসটির সুপার ইউজার হতে নিশ্চয় এতদিনে এটিকে রুট করে ফেলেছেন? যদি করেই থাকেন তাহলে কিছু পুর্ব সতর্কতা অবলম্বন করুন, না হয় সমুদ্রের ভাসমান নগরীতে খেলনা বাড়ী বানিয়ে সেখানেই বাস করতে থাকুন। কারন আমার অভিজ্ঞতা বলে, রুট করলেই সেট ব্রিকিং হওয়ার একটি ঝামেলা থেকেই যায়, যা আপনাকে সব সময় পেছন পেছন তাড়া করে ফিরবে। তাই কিছু পুর্ব সতর্কতা নিয়ে রাখুন। এই অধমের কথা বিফলে যাবেনা । মারাত্মক ভাবে  Bricked (অচলাবস্থা) হয়ে যাওয়া সেটটিকে বিভিন্নভাবে রিকোভার করা যায়। কিন্তু আমি বলব, অযথা এত ঝুকি কেন নিবেন, যে খানে আমরা বুদ্ধি হয়ে একটি শুনে আসছি, “Prevention is better than cure”? আসুন তাহলে আজ আমরা জানি কিভাবে আপনার সাধের হ্যান্ডসেটটি কে ব্রিকড(Bricked) হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবেন।



এন্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করার পর কিছু পরামর্শ যা আপনার সেটটি রাখবে সুরক্ষিত! 

  • কাস্টম রিকোভারি(Custom Recovery) ইন্সটল দিন
এন্ড্রয়েড সেটের করাপটেড সিস্টেম রিকোভারি করতে প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমে তিনটি পদ্ধতি বাই ডিফল্ট দেওয়া থাকে। প্রথমটি হল ডাউনলেড মুড(Download Mode) দ্বিতীয়টি  বুট লোডার(The Boot-Loader) এবং তৃতীয়টি হল সিস্টেম রিকোভারি(System Recovery)।  আমার অভিজ্ঞতা বলে তৃতীয়টিই হল অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। কারন, এটি দ্বারা আপনি আপনার ব্যাক আপ দিয়ে রাখা অরিজিনাল অপারেটিং সিস্টেম কে পুনরায় রিস্টোর করছেন। 

গুরুত্বপুর্ন বিষয় হল এই যে, custom recovery আপনার এন্ড্রয়েড সেটের পুরো অপারেটিং সিস্টেম কে পুনরায় রি-ইনস্টল করে ফলে আপনার ফোনটি আবার পুর্বের ন্যায় পারফর্ম করে। 



অনলাইনে আপনি হয়তবা অনেক কাস্টম রিকোভারি এপস খুঁজে পাবেন। কিন্তু আমি বলব হাজারো এপস এর মধ্যে দুটি এপস সেরা। এই দুটি হল Team Win Recovery Project (TWRP)  এবং ClockWorkMod (CWM)। দুর্ভাগ্যবশতঃ এটি সব সেটে সাপোর্ট করেনা। যদি আপনারটিতে করে তবে এর মধ্যে যে কোন একটি আপনার করে নিন। 

  • Fastboot or ADB এই দুটি বিষয়ের সাথে পরিচিত হউন! 
রুটকরে আপনার সেটটিকে মডিফাই করার পুর্বে ভাল করে দুটি টার্ম Fastboot or ADB(Android Debug Bridge) এর সাথে পরিচিত হউন।  বিশেষ প্রয়োজনে  কমান্ড লাইন হতে ফ্ল্যাশ ফ্যাক্টরী ইমেজ দ্বারা আপনার ডিভাইসটিকে রিকভার করার দরকার পড়তে পারে। দ্বিতীয়তঃ আপনাকে কোন গুরুত্বপুর্ন ফাইল আপনার ডিভাইসে ট্রান্সফার করা লাগতে পারে। ব্রিকড ডিভাইস এর ক্ষেত্রে এ দুটি মেথড যুতসই মেথড হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

কিভাবে Fastboot  সেট আপ দিতে হয় এবং ব্যবহার করতে হয় তা জানতে এই ফোরামে একবার ঢুঁ মেরে আসুন। অনেক কিছু শিখতে পারবেন। Fastboot  হল একটি কমান্ড যা কম্পিউটার হতে আপনার হ্যান্ডসেটে প্রবেশের অনুমতি দেয়। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন হল Fastboot  দিয়ে কমান্ড লাইনের মাধ্যমে  factory image ইনস্টলেশন করা যায়। তাই যে ক্ষেত্রে Custom Recovery ব্যর্থ সেখানে এটিই হতে পারে শেষ ভরসা। 
XDA-developers‘s doctor_droid কিভাবে ADB (Android Debug Bridge) ব্যবহার করতে হয় তার উ্পর একটি চমৎকার টিউটোরিয়াল তৈরী করেছেন।মুলতঃ  ADB হল  Fastboot এর ন্যায় একই রকম পদ্ধতি।

  • আপনার ডিভাইসটি ব্যাক-আপ দিয়ে রাখুন
সব পথ রুদ্ধ হলেও যদি আপনি আপনার ডিভাইসটির টোটাল ব্যাক আপদিয়ে রাখেন, তবে প্রয়োজনে আপনি তা রিকভার করতে পারবেন। সহজে প্রবেশ করা যায় এমন লোকেশনে আপনার ডিভাইসটির ব্যাক-আপ দিয়ে রাখুন। যেমন এসডি কার্ড(SD card) ।  Back up দেওয়া আসলে অত্যন্ত সহজ। শুধ Back -Up অপশনে যান আর সকল পারটিশন সিলেকট করে দিন।  সংকটময় মুহুর্তে আপনি আপনার ব্যাক-আপে রাখা একটি অংশ, কিছু অংশ কিংবা সমস্ত অংশ রিস্টোর করতে পারবেন। Titanium Backup ব্যবহার করে রিস্টোর করার চেয়ে বরং এটি খুব সোজা একটি পদ্ধতি।  




  • আপনার ডিভাইসটির পরিপুর্ন ব্যাক-আপ রাখুন
ব্যাক-আপই যখন রাখবেন তাহলে শুধু সিস্টেম আর ডেটা ব্যাক-আপ কেন? পরিপুন ব্যাক-আপ বলতে শুধু মাত্র এটিকেই বুঝায় না। অপারেটিং সিস্টেম এর পুর্ন ব্যাক-আপ বলতে এসকল কিছুর সাথে অন্যান ডিরেক্টরিজ এর ব্যাক-আপ দেওয়াকে বুঝায়। যা অধিকাংশ কাস্টম রিকভারিতে বাই ডিফল্ট সিলেক্ট করা থাকে না। তাই ব্যাক-আপ দেওয়ার সময় সব কিছু চেক করে নিন আর সিলেক্ট দিয়ে নিন।



  • ব্যা-আপের একটি কপি আপনার ডেস্কটপেও রেখে দিন
আপনার ব্যাক-আপ কপি শুধুমাত্র মো্বাইলের মধ্যে জমা রাখা কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তির কাজ নয়। ব্যাক-আপ দেওয়ার পর এর একটি কপি আপনার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে রেখে দিন যাতে আপনার পুরো সিস্টেম বিপর্যয় হলে এখান থেকে রিস্টোর করে নিতে পারেন।
আপনার ডিভাইসটিতে প্রবেশ অত্যন্ত সহজ। শুধু আপনার সেট টিকে পিসিতে কানেক্ট করুন। আপনি অনায়াসে আপনার পিসি হতে এন্ড্রয়েড ডিভাইসে প্রবেশ করতে পারবেন। এটা আপনার পিসিতে রিমুভেবল (Removable device) ডিভাইস হিসেবে প্রদর্শিত হবে।



এখান হতে রুট ডিরেক্টরিতে চলে যান এবং যথাযথ বা সঠিক ডিরেক্টরি(Directories) খুঁজে বের করুন। যদি এটা হয়, তবে এটিকে এই নামে দেখা যাবে।




আরও নিশ্চিন্ত হবার জন্য আপনি হয়ত কোন ক্লাউড স্টোরেজ (Cloud Storage)  এ আপনার ব্যাক আপ সংরক্ষন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যাক-আপ ফাইলটিকে অব্শ্যই encrypt করে নিবেন।

  • এন্ড্রয়েড ডিভাইসের কিভাবে হার্ড রিসেট করতে হয় তা জনুন
হার্ড রিসেট করার সবচেযে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হল এর ব্যাটারি খুলে আবার তা লাগানো। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশতঃ অনেক ডিভাইস আছে যেগুলো ব্যাটারি খুলে ফেলাটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। আবার সৌভাগ্যবশতঃ অনেক ডিভাইস উৎপাদন কারী কোম্পানী জরুরী মুহুর্তে হার্ড রিসেট অপশন রাখে। যেমন: আমার সিম্ফনী ZV Pro ডিভাইসটি ব্যাটারী রিপ্লেস যোগ্য নয়। কিন্তু আমি এটিকে রিসেট করেছিলাম এর পাওয়ার বাটনটিকে ১০ সেকেন্ড এর চেপে রেখে। 

কিভাবে হার্ড রিসেট করতে হয় তা জানতে আপনি আমাদের গুগল মামাকে একবার জিজ্ঞেস করতে পারেন। আপনার সেটের নাম ও মডেল লিখে তার পাশে লিখুন Hard reset অথবা reset। দেখবেন একটা না একটা উপায় পেয়ে যাবেন। তবে হ্যা দেখবেন যেন ভুল করে যেন ফ্যাক্টরী রিসেট দিয়েন না। 

শেষ কথা

সব শেষে আমরা একথাই বলতে পারি, আপনার সেটটিকে Bricking  এর হাত হতে রক্ষা করতে  প্রতিরোধমুলক পদক্ষেপ নেওয়াটাই সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই উপরের    ধাপ গুলো বিবেচনায় রাখুন। দেখবেন আপনার সেটের এর Bricking হার নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। ভাল থাকবেন সবাই। আপনাদের কাজে আসলেই আমার শ্রম স্বার্থক হয়েছে বলে আমি ধরে নেব। ভাল লাগলে নীচে কমেন্ট বক্সের মা্ধ্যমে জানাবেন। 

No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages