বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ হবে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ হবে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায়

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ হবে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায়

Share This

সারাদেশের বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নিয়ে মেধা তালিকা করে দেবে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এই মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। নতুন এ নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা সংশোধন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার বিধিমালাটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়। তবে প্রজ্ঞাপনে তারিখ দেয়া হয়েছে ২২ অক্টোবর। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, এখন থেকে নতুন নিয়মে নিয়োগ কার্যক্রম চলবে। ইতোমধ্যে যারা নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারাও নিয়োগের সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে আরেকটি মেধা তালিকা করে দেবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নতুন ও পুরনো যে কোনো তালিকা থেকে মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগ দিতে পারবে। নিবন্ধনের মেয়াদ হবে তিন বছর। আর যারা ইতোমধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন এমপিওভুক্তির (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ পাওয়া) ক্ষেত্রে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। তারা আগের নিয়মেই এমপিওভুক্ত হবেন। শিগগিরই 'সার্কুলার' জারি করে বিষয়গুলো পরিষ্কার করে হবে।

নতুন এই পদ্ধতির ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি একচ্ছত্র ক্ষমতা হারাবে। বর্তমান পদ্ধতিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে নিবন্ধন পরীক্ষা হলেও নিয়োগের ক্ষেত্রে পরিচালনা কমিটিই একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী। পরিচালনা কমিটি তাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিলে নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করেন। পরে পরিচালনা কমিটির অধীনে স্থানীয়ভাবে নিয়োগ কমিটি গঠন করে আবেদনকারী প্রার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ করা হয়। এতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি, আর্থিক লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রায়ই উঠছে। বিদ্যমান কাঠামোয় সাংসদসহ সরকার দলের নেতাকর্মীরাই এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হয়ে থাকেন।

নতুন নিয়মে এনটিআরসিএ প্রতি বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ওই জেলার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পদ ও বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের তালিকা সংগ্রহ করবে। এই তালিকার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রথমে একটি বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা হবে। এরপর ঐচ্ছিক বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপজেলা, জেলা ও জাতীয়ভিত্তিক মেধাক্রমের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
কোনো প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক উভয় ক্ষেত্রে পৃথকভাবে নূ্যনতম ৪০ শতাংশ নাম্বার না পেলে তিনি মেধা তালিকায় স্থান পাবেন না। মেধা তালিকার বাইরে আরো ২০ ভাগ প্রার্থীকে অপেক্ষমাণ রাখা হয়। মৃত্যু হলে, চাকরি ছাড়লে বা অন্য কোনো কারণে পদ শূন্য হলে এই তালিকা থেকে শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাছাই পরীক্ষার ফল পরীক্ষা গ্রহণের ২০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। অনিবার্য কারণে এই সময় আরো ১০ দিন বাড়ানো যাবে। ঐচ্ছিক বিষয়ে লিখিত পরীক্ষার ফল ৪৫ দিন ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের পর ৩০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশের অনধিক ৯০ দিনের মধ্যে এনটিআরসিএ উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তথ্যভান্ডার নিবন্ধন করবে এবং তিন বছর মেয়াদি প্রত্যয়নপত্র দেয়া হবে।

বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত প্রায় ৩০ হাজার বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages