এমপিওর দাবিতে বেসরকারি শিক্ষকদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, এমপিও নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও করা হবে। রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে এসব কথা বলেন মো. সোহরাব হোসাইন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে সরকারপ্রধানের দৃষ্টি রয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, এমপিও করা এটা সময়ের ব্যাপার। কত সংখ্যক হবে, কবে নাগাদ হবে তা সুনির্দিষ্ট করা যাবে না। তবে এটা নিশ্চিত যে, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে। তাই শিক্ষকদের রাস্তায় আন্দোলন করার প্রয়োজন নেই, তারা বাড়ি ফিরে যাক।
আরো খবর: শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা ৩৫, নির্দেশনা পেল এনটিআরসিএ
সোহরাব হোসাইন আরো বলেন, শিক্ষকরা গত জানুয়ারি মাসেও তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। তখন তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। সরকারপ্রধানের বার্তা নিয়ে কোনো সন্দেহ প্রকাশ করার অবকাশ নেই।
২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা না থাকায় আবারো আন্দোলনে যাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ জন্য পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ৯টা থেকে ‘শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন’ ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারী আসতে থাকেন। সাড়ে ৯টায় পুলিশ এসে তাদের অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দেয়। এরপর এ কর্মসূচি সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী বলেন, ২০১৮- ১৯ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা নেই। আমাদের জন্য বাজেটে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। এতে আমরা হতাশ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বিনয় ভূষণ রায় বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সারাদেশ থেকে এসে প্রেসক্লাবে অবস্থান নিই। কিন্তু পুলিশ আমাদের সেখান থেকে তুলে দেয়।
কর্মসূচিতে বাধার বিষয়ে শাহবাগ থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, ঈদের আগে কোনো গ্যাদারিং করতে দেয়া হচ্ছে না। তাছাড়া তাদের কোনো পূর্বানুমতিও নেই। যে কারণে তাদের বসতে দেয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশ জার্নাল/জেডএইচ/
No comments:
Post a Comment