এটি সফটওয়্যার(Software) নয় এটি একটি ফার্মওয়্যার(Firmware)। আপনারা আবার হয়তবা আপনার প্রশ্ন করে বসবেন, তাহলে Software ও Firmware এর মাঝে পার্থক্যটা কোথায়? এদুটি জিনিসের মাঝে সীমারেখা টানতে গিয়ে যা বলব তা হল Software কে এর ইউজার ইচ্ছেমত ইন্সটল বা আনইন্সটল করতে পারেন । কিন্তু Firmware এর ক্ষেত্রে তেমনটি সম্ভব নয়। Software এর নির্মাতা ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান উভয়ই হতে পারে। কিন্তু Firmware এর নির্মাতা কেবল কম্পিউটার নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান এবং তারাই এটি কে মাদার বোর্ডের চিপে প্রথম দিকেই ইন্সটল করে রাখেন। একে ইউজার কখনোই আনইন্সটল করতে পারেন না। এটিকে প্রয়োজনে একটি বিশেষ Program Application এর মাধ্যমে কেবলমাত্র কম্পিউটার নির্মাতা কোম্পানীই আনইন্সটল করতে পারে। অতএব একথা বলা যেতে পারে যে, BIOS হল এমন একটি Firmware যা Hardware ও Software এর মাঝে ইনটারপ্রেটার হিসেবে কাজ করে। । এটি পিসি অন করার পর থেকে, পরিপুর্ন ভাবে পিসি ওপেন হওয়ার আগ-পর্যন্ত, পিসির সামগ্রিক যন্ত্রাদি, মানে সকল Input-Output ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশনসহ সকল সফটওয়্যার ঠিকঠাক আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে। সিপিউ (CPU) এর অভ্যন্তরে কাজতি এতটাই দ্রুত হয় যে, একজন সাধারন কম্পিউটার ব্যবহারকারী তা বুঝতেই পারেননা। আসলে কম্পিউটার ব্যাবহারকারীর তা বোঝার দরকারও পড়েনা। বায়োস এর কাজের পরিধি কিছুটা নির্ভর করে, কম্পিউটার ব্যবহারকারী কোন পর্যায়ের- সাধারণ, প্রফেসনাল, বিশেষজ্ঞ নাকি গবেষক তার ওপর। এই পরিধি, ব্যাবহারকারীর পর্যায় অনুযায়ী প্রয়োজন চিন্তা করে, ডস থেকে বায়োসের সেটিংস নির্ধারন করা হয়ে থাকে।
যাকে CMOS ব্যাটারি বলে। CMOS ব্যাটারি হল একটি Lithium-ion battery যা দেখতে অনেকটা একটি ১ টাকার মুদ্রারমত গোলাকার। এটি সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত চার্জ ধরে রাখতে সক্ষম। যদি আপনার CMOS ব্যাটারি নিশ্বেষ হয়ে যায় তবে বুঝবেন আপনার বায়োসের পরিবর্তিত সেটিংস সম্পুর্ণভাবে মুছে যাবে এবং রিসেট হয়ে কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত তথ্য প্রদর্শন করবে। হয়ত কোন একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন বায়োসে আপনার করা সমস্ত সেটিংস মুছে গেছে এবং আপনার সিস্টেম ক্লক বর্তমান সময় নির্দেশ করার পরিবর্তে তাতে পুর্বের কোন সময় দেখাচ্ছে(যেমন ধরুন January 1st, 1970) তাহলে বুঝে নেবেন আপনার কম্পিউটারের CMOS ব্যাটারি শেষ। এটিকে রিপ্লেস করেনিন।
ফ্যান স্পিড, ভোল্টেজ এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাঃ কম্পিউটারের ওভার হিটিং প্রব্লেম চলাকালীন সময়ে অথবা কম্পিউটারের সব ডিভাইস গুলো ঠিক ঠাক মত কাজ করছে কিনা তা দেখার জন্য সবচাইতে সহজ পদ্ধতি হল বায়োসে একবার ঢু মেরে দেখা। যেমনঃ সব ডিভাইস গুলো ঠিক ঠাক ভোল্টেজ পাচ্ছে কিনা ইত্যাদি।
লক করে রাখুন আপনার কম্পিউটারকেঃ UEFI BIOS সিস্টেম এর সিকিওর বুট অপশনের মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটার এর বুট মেনুকে আরও সিকিওর করে নিতে পারেন যাতে করে অন্য কেওই আপনার BIOS এ উপর্যুপরি এক্সেস করতে না পারে। আর এ সুবিধা থাকার কারনেই অধিকাংশ ফ্যামিলি গিকরা তাদের বায়োসকে UEFI BIOS সিস্টেম এ আপগ্রেড করে নিচ্ছে। অন্যান্য ছোট ছোট কিছু কাজঃ উপরে উল্লেখিত এসব কারনেই আসলে বায়োস ব্যবহার করা লাগে। এছাড়াও অন্যান্য কিছু সেটিংস আছে যেমনঃ -সিস্টেমের টাইম ঠিক করা -হার্ডওয়্যার এর প্রোফাইল ফিচার পরিবর্তন করা (UEFI এর ফিচার) ইত্যাদি কারনে বায়োস এক্সেস করার প্রয়োজন হয়। আর সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০১১ সালে BBC এর তথ্য অনুযায়ী আমাদের এই বহুল আলোচিত Traditional BIOS সিস্টেমটি কয়েক বছরের মধ্যেই আমাদের কম্পিউটার থেকে অচিরেই হারিয়ে যাবে। যার পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে UEFI BIOS (Unified Extensible Firmware Interface) সিস্টেম। এর ফলে Traditional BIOS এর ২০-৩০ সেকেন্ডের পরিবর্তে কম্পিউটার চালু হতে সময় নিবে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। আসলে কি জানেন? বায়োস এর সিস্টেম নিয়ে ঘাটাঘাটি এবং এর অ্যাডভান্স সিস্টেম নিয়ে কাজ করে আপনিও হয়ে যেতে পারেন আপনার ঘরের কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ।
কিন্তু প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে এর কিছু বড় ধরনের সীমাবদ্ধতার কারনে এটি আস্তে আস্তে মেয়াদোর্ত্তীর্ণ সিস্টেম এ পরিনত হয়ে গেছে, যেখানে প্রায় সব ব্র্যান্ডের ম্যানুফ্যাকচাররা তাদের ডিভাইস গুলোকে UEFI BIOS সিস্টেম এ আপগ্রেড করে নিচ্ছে।
দ্বিতীয় চিপটি ব্যাকআপ বায়োস হিসেবে ভুমিকা পালন করে, এবং ডিফল্ট হিসেবে পিসিকে কার্যক্ষম রাখতে সার্বিক সহয়তা দেয়। এজন্য ২য় বায়োস রিকভারি করতে হয়। পিসির মাদারবোর্ডে ডুয়াল বায়োস থাকলে, যদি প্রাইমারি বায়োস নষ্ট হয়ে যায়, তখন পিসি বন্ধ হয়ে যায়। তখন ব্ল্যাক-স্ক্রীনে দ্বিতীয় বায়োসটি রিকভারি করবেন কিনা, এরকম অপশন আসবে। এভাবে দ্বিতীয় বায়োসটিকে কার্যকর করা যায়। এছাড়াও, যে কারণে পিসি বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক সেই কারন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। মূল কথাটি এই যে- প্রধান বায়োস কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেললে বা নষ্ট হয়ে গেলে, ডুয়াল বায়োসের ” বায়োস রিকভারি এজেন্ট ” তার একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে ২য় বায়োসটিকে প্রধান বায়োসের ভূমিকায় অবতীর্ণ করে। ডুয়াল বায়োস সমৃদ্ধ মাদারবোর্ড না থাকলে, মানে একটি বায়োস সমৃদ্ধ মাদারবোর্ড থাকলে, যদি ওই একটি বায়োস নষ্ট হয়ে যায়, তখন পিসিতে কোন কাজই করা যায়না। এমনকি পিসির অপারেটিং সিস্টেম (OS) কোন কিছুতেই ওপেন হবেনা। আর জানেনই তো, OS ছাড়া কম্পিউটারটিই অচল। তাই বায়োসকে কম্পিউটারের প্রাণ হিসেবে তুলনা করা হয়। ও-হ্যাঁ, এরকম অবস্থায় আপনার মাদারবোর্ডের বায়োস চিপটি পরিবর্তন করতে হতে পারে। কখনও কখনও এমন হতে থাকে যে, পিসি অন করার সাথে সাথে আপনা-আপনিই রিস্টার্ট নেয় বা শাট-ডাউন হয়ে যায়। তখন আপনাকে আপনার পিসিটি, ভাল কোন সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে গিয়ে নতুন করে বায়োস চিপ লাগিয়ে নিতে হবে। আর যদি ওয়ারেন্টি থেকে থাকে, তাহলে আপনার পিসিটি কতৃপক্ষের নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। আর মূল কথা হল, সিংগেল বায়োস সমৃদ্ধ মাদারবোর্ডে এসব নানা ধরনের বিড়ম্বনার সাথে সাথে , প্রয়োজনীয় কাজেরও মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। এমনটি হোক তা নিশ্চয় কেউ চাইবেননা। তাই বলা হয়ে থাকে, একটি কার্যকর ও স্মার্ট পিসির জন্য দরকার ডুয়াল বায়োস সমৃদ্ধ একটি মাদারবোর্ড।
BIOS এ যেভাবে এক্সেস করতে হয়?
আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের কিছু নাও বুঝেন তারপরেও ইচ্ছে করলে আপনি ঢু মেরে আসতে পারেন আপনার কম্পিউটারের বায়োস সফটওয়্যারটি থেকে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে যেন কিছু পরিবর্তন না হয়ে যায়। যখন আপনার কম্পিউটার স্টার্ট হয়, একেবারে নির্ভুল ভাবে বলতে গেলে যখন আপনার মাদারবোর্ডের চিত্র সংবলিত স্ক্রিনটি ফুটে ওঠে অথবা পুরানো পিসি গুলোর ক্ষেত্রে যখন DOS (ডস) স্ক্রিনটি ফুটে ওঠে তখন কম্পিউটারের Delete key টি চেপে ধরে রাখলেই BIOS এ এক্সেস পাওয়া যায়। কিছু কিছু ব্রান্ড এর মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে এটা কাজ নাও করতে পারে কিন্তু যাইহোক ওখানে বলেই দেওয়া থাকবে যে BIOS এক্সেস করার জন্যে কোন সুইচটি চেপে ধরা লাগবে। বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত কিছু কম্পিউটারের বায়োস সেট আপ কী(Key) ফাংশন দেখানো হল-আপনার কম্পিউটারটি কোন ব্রান্ডের তা দেখে সেই অনুযায়ী কাজ করুন।
Acer (laptop) ==================== Esc, F12, F9
Asus (Laptop) ==================== Esc
Asus (Desktop) ==================== F8
HP (Laptop) ==================== F10, F9
Dell (laptop) ==================== F2
Samsung (Laptop) ================= F2, F10
Lenovo (Laptop) =================== F12
Sony Vio (Laptop) ================== F2, F8
Toshiba (Laptop) =================== F12
ডেস্কটপ মাদারবোর্ডের জন্য নিচের কি(Key) টাইপ করুন।
AMI (American Megatrends)=========Press Del or Delete key when after powering on the computer. Some older motherboards that use AMI BIOS may prompt for the F1 or F2 key instead.
Award Software (now part of Phoenix Technologies) ====== Press the Del key to enter the BIOS Setup Utility on nearly all AwardBIOS powered motherboards. Some older systems using Award's BIOS software asked for Ctrl+Alt+Esc to enter BIOS.
DTK (Datatech Enterprises) ========= Press the Esc key to enter BIOS, right after powering on the PC.
Phoenix Technologies(Phoenix BIOS, Phoenix-Award BIOS) ===== Press Del during the Power On Self Test, immediately after the computer starts. Many older Phoenix BIOS systems required Ctrl+Alt+Esc, Ctrl+Alt+Ins, or Ctrl+Alt+S to access
BIOS. abit (BIOS) ============= Press Del while the PRESS DEL TO ENTER SETUP message is displayed to access the BIOS setup utility.
ASRock(BIOS) ========== Press F2 right after the computer starts up. If you're still having troubles entering BIOS or can't figure out what company supplied the BIOS on your motherboard, here are some keyboard commands you might want to randomly try in addition to the any of the ones listed above: F3 ,F4, F10, F12, Tab Esc , Ctrl+Alt+F3 , Ctrl+Alt+Del , Ctrl+Alt+Shift+Del (using Del from the keypad), Ctrl+Insert, Ctrl+Shift+Esc, Fn+[any "F" function key] (on some laptops)
তো অনেকক্ষণ বক বক করলাম আপনাদের সাথে । জানিনা কেমন লিখলাম, ভাল লাগলে এই পোস্টের একেবারে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
6 comments:
ধন্যবাদ। অনেক কিছু শিখলাম এ লেখা থেকে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ। GRUB ও EFI সম্পর্কে লেখা আশা করছি
আমি কোন কমেন্ট করবো না 🙋🤭
অনেক ভালো লাগলো,ধন্যবাদ পোস্ট করার জন্য।
Post a Comment