আসুন জানি বায়োসের আদি অন্ত । আর হয়ে যান আপনার নিজের কম্পিউটার ডক্টর! - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

আসুন জানি বায়োসের আদি অন্ত । আর হয়ে যান আপনার নিজের কম্পিউটার ডক্টর!

আসুন জানি বায়োসের আদি অন্ত । আর হয়ে যান আপনার নিজের কম্পিউটার ডক্টর!

Share This
  



BIOS (বায়োস) কি? 

BIOS (বায়োস) এর শাব্দিক সংক্ষিপ্ত রূপ হলো “Basic Input Output system” । এটি মূলতঃ কম্পিউটারের প্রাণ বলা হয়। আপনি যখন আপনার পিসি বা ল্যাপটপের অন বাটনটিতে চাপ দেন তখন কিন্তু প্রথমেই উইন্ডোজ রান হয় না। রান হয় বায়োসে। তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, উইন্ডোজ তো আমরা হার্ডডিস্কে ইন্সটল দিয়ে থাকি। তাহলে BIOS (বায়োস) কোথায় ইন্সটল দেওয়া হয়। এই প্রশ্নে উত্তর হল- না ভাই, বায়োসের অবস্থান হার্ডডিস্কে নয় এর অবস্থান হল আপনার পিসি বা ল্যাপটপের মাদার বোর্ডের একটি চিপে।


এতক্ষণে আপনারা বুঝেগেছেন BIOS হল একটি Program এপ্লিকেশন। তবে এটিকে সফটওয়্যার বললে কিছুটা ভুল বলা হবে।


 এটি সফটওয়্যার(Software) নয় এটি একটি ফার্মওয়্যার(Firmware)। আপনারা আবার হয়তবা আপনার প্রশ্ন করে বসবেন, তাহলে Software ও Firmware এর মাঝে পার্থক্যটা কোথায়? এদুটি জিনিসের মাঝে সীমারেখা টানতে গিয়ে যা বলব তা হল Software কে এর ইউজার ইচ্ছেমত ইন্সটল বা আনইন্সটল করতে পারেন ।  কিন্তু Firmware এর ক্ষেত্রে তেমনটি সম্ভব নয়। Software  এর নির্মাতা ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান উভয়ই হতে পারে। কিন্তু Firmware এর নির্মাতা কেবল কম্পিউটার নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান এবং তারাই এটি কে মাদার বোর্ডের চিপে প্রথম দিকেই ইন্সটল করে রাখেন।  একে ইউজার কখনোই আনইন্সটল করতে পারেন না। এটিকে প্রয়োজনে একটি বিশেষ Program Application এর মাধ্যমে কেবলমাত্র কম্পিউটার নির্মাতা  কোম্পানীই আনইন্সটল করতে পারে। অতএব একথা বলা যেতে পারে যে, BIOS হল এমন একটি Firmware যা Hardware ও Software এর মাঝে ইনটারপ্রেটার হিসেবে কাজ করে। । এটি পিসি অন করার পর থেকে, পরিপুর্ন ভাবে পিসি ওপেন হওয়ার আগ-পর্যন্ত, পিসির সামগ্রিক যন্ত্রাদি, মানে সকল Input-Output ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশনসহ সকল সফটওয়্যার ঠিকঠাক আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে। সিপিউ (CPU) এর অভ্যন্তরে কাজতি এতটাই দ্রুত হয় যে, একজন সাধারন কম্পিউটার ব্যবহারকারী তা বুঝতেই পারেননা। আসলে কম্পিউটার ব্যাবহারকারীর তা বোঝার দরকারও পড়েনা। বায়োস এর কাজের পরিধি কিছুটা নির্ভর করে, কম্পিউটার ব্যবহারকারী কোন পর্যায়ের- সাধারণ, প্রফেসনাল, বিশেষজ্ঞ নাকি গবেষক তার ওপর। এই পরিধি, ব্যাবহারকারীর পর্যায় অনুযায়ী প্রয়োজন চিন্তা করে, ডস থেকে বায়োসের সেটিংস নির্ধারন করা হয়ে থাকে। 


CMOS কি এবং কেন? 
যখন একজন ব্যবহারকারি BIOS এর কোন ‍সেটিংস পরিবর্তন করে তখন কিন্তু সেই পরিবর্তন BIOS Chip এ সেভ হয় না। আসলে সেটি সেইভ হয় একটি বিশেষে আলাদা মেমোরি চিপে যাকে আমরা CMOS বলে থাকি। আসলে CMOS কোন চিপ নয় একটি এটি একটি বিশেষ প্রক্রিয়া বা পদ্ধতির নাম যার পুরো রুপ হল Complementary Metal-Oxide-Semi Conductor.  আসলে এটি একটি উৎপাদন প্রক্রিয়ার নাম যা প্রসেসর, র‌্যাম, এবং ডিজিটাল লজিক সার্কিট তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। 
অধিকাংশ RAM চিপের ন্যায় যে চিপটিতে আপনার বায়োস সেটিংস সংরক্ষিত হয় সেটি আসলে তৈরি হয় CMOS প্রসেসে।  এটিতে সাধারনত সামান্য পরিমাণ ডেটা সংরক্ষিত থাকে যা সাধারণত ২৫৬ বিটের মত হয়ে থাকে। এই CMOS চিপটিতে সাধারণত যে সকল তথ্য সন্নিবেশিত থাকে সেগুলো হলো আপনার কম্পিউটারটিতে ইনস্টলকৃত হার্ড-ডিস্ক ড্রাইভের ধরন,  চলতি সময় বা তারিখ এবং আপনার কম্পিউটারের বুট সিকোয়েন্স। কিছু কিছু মাদারবোর্ড CMOS  একটি আলাদা হিসেবে থাকে, যাইহোক অধিকাংশ আধুনিক মাদারবোর্ড গুলোতে CMOS টিকে RTC (Real Time Clock) এর সঙ্গে সমন্বিত করা হয় যা মাদারবোর্ডের Southbridge অবস্থান করে।  Southbrridge হচ্ছে কম্পিউটারের দক্ষিণ পাশের অর্থাৎ নিচের দিকে অবস্থিত একটি IC (Integrated Circuit)। আপনার কম্পিউটারে ব্যবহৃত বায়োস মেমোরিটি একটি অপরিবর্তনশীল (Non-Volatile) মেমোরি। আপনার কম্পিউটার বিদ্যুৎ হতে বিচ্ছিন্ন থাকলেও তাতে ইনফরমেশন সেভ করে রাখে কারন আপনার কম্পিউটারে আপনি যে পরিবর্তন বায়োস সেটিংস এ করেছেন বা যে সটিংস এতে বিদ্যমান আছে তার উপর ভিত্তি করেই তো আপনার কম্পিউটার টি চলে। আর বিদ্যুৎ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা সত্ত্বেও বায়োসের  সেটিংস ও অন্যান্য সামান্য তথ্য CMOS এর রয়েছে নিজস্ব ব্যাটারী।


 যাকে CMOS ব্যাটারি বলে। CMOS ব্যাটারি হল একটি Lithium-ion battery যা দেখতে অনেকটা একটি ১ টাকার মুদ্রারমত গোলাকার। এটি সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত চার্জ ধরে রাখতে সক্ষম। যদি আপনার CMOS ব্যাটারি নিশ্বেষ হয়ে যায় তবে বুঝবেন আপনার বায়োসের পরিবর্তিত সেটিংস সম্পুর্ণভাবে মুছে যাবে এবং রিসেট হয়ে কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত তথ্য প্রদর্শন করবে। হয়ত কোন একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন বায়োসে আপনার করা সমস্ত সেটিংস মুছে গেছে এবং আপনার সিস্টেম ক্লক বর্তমান সময় নির্দেশ করার পরিবর্তে তাতে পুর্বের কোন সময় দেখাচ্ছে(যেমন ধরুন January 1st, 1970) তাহলে বুঝে নেবেন আপনার কম্পিউটারের CMOS ব্যাটারি শেষ।   এটিকে রিপ্লেস করেনিন। 

বায়োসের কাজ কীকী?

পূর্বেই বলেছি BIOS (বায়োস) এর পুরো অর্থ হচ্ছে “Basic Input/Output System”। হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যার এর সাথে সমন্বয় করে কাজ করে এটি। এটির মধ্যে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উভয়ের ধর্ম পরিলক্ষিত হয় ।  এর মধ্যে থাকা কত গুলো নির্দেশনার সমষ্টিই হচ্ছে BIOS (বায়োস)। আমাদের কম্পিউটারের কি-বোর্ড থেকে শুরু করে মাউস, ইউ-এস-বি এবং অন্যান্য ইন্টিগ্রেটেড/নন-ইন্টিগ্রেটেড ডিভাইস সাপোর্ট করার জন্যে প্রয়োজনীয় ড্রাইভার গুলো এ বায়োসেই লোড হয়ে থাকে, বুট-অর্ডারে এক্সেস করা, হার্ড ডিস্ক ইনিশিয়ালাইজ করা, মনিটরে আউট-পুট দেখানো সহ আরো অনেক কাজ আসলে এ বায়োস এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। আমি পুর্বেই বলেছি যে, বায়োস এর কাজের পরিধি কিছুটা নির্ভর করে, কম্পিউটার ব্যবহারকারী কোন পর্যায়ের- সাধারণ, প্রফেসনাল, বিশেষজ্ঞ নাকি গবেষক তার ওপর। সব ধরনের কম্পিউটার গিকদেরই আসলে কোন না কোন দিন বায়োসে এক্সেস করতে হয়, কারণ তারা এর মাধ্যমে কিছু অ্যাডভান্স সিস্টেম কনফিগারেশন করার সুবিধা পায় যেগুলো তারা তাদের অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে (আথবা কিছু সফটওয়্যার এর মাধ্যমে) ব্যবহার করতে পারে না। এছাড়াও কোন ডিভাইস ঠিক ঠাক মত কাজ না করলে অনেক ট্রাবল_সুটিং অপশনের মাধ্যমে তারা যাচাইও করে নিতে পারে তাদের ডিভাইসটিকে। বুট অর্ডার এর পরিবর্তন আমাদের কম্পিউটার স্টার্ট হওয়ার সাথে সাথেই এটি অনেকগুলো হাই-প্রাইয়োরিটি লিস্টের ডিভাইস গুলোকে এক্সেস করা শুরু করে। যেমন আপনার কম্পিউটারে যদি কোন ডিস্ক ইনসার্ট করা থাকে অথবা অনেক গুলো অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা থাকে, তাহলে আপনি এই বুট অর্ডারের মাধ্যমে তা নির্দিস্ট করে দিতে পারেন।  এছাড়াও আরও কিছু কাজ এই বায়োসের মাধ্যমে করা যায়, যেমন ধরুন-

ফ্যান স্পিড, ভোল্টেজ এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাঃ কম্পিউটারের ওভার হিটিং প্রব্লেম চলাকালীন সময়ে অথবা কম্পিউটারের সব ডিভাইস গুলো ঠিক ঠাক মত কাজ করছে কিনা তা দেখার জন্য সবচাইতে সহজ পদ্ধতি হল বায়োসে একবার ঢু মেরে দেখা। যেমনঃ সব ডিভাইস গুলো ঠিক ঠাক ভোল্টেজ পাচ্ছে কিনা ইত্যাদি। 

লক করে রাখুন আপনার কম্পিউটারকেঃ UEFI BIOS সিস্টেম এর সিকিওর বুট অপশনের মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটার এর বুট মেনুকে আরও সিকিওর করে নিতে পারেন যাতে করে অন্য কেওই আপনার BIOS এ উপর্যুপরি এক্সেস করতে না পারে। আর এ সুবিধা থাকার কারনেই অধিকাংশ ফ্যামিলি গিকরা তাদের বায়োসকে UEFI BIOS সিস্টেম এ আপগ্রেড করে নিচ্ছে। অন্যান্য ছোট ছোট কিছু কাজঃ উপরে উল্লেখিত এসব কারনেই আসলে বায়োস ব্যবহার করা লাগে। এছাড়াও অন্যান্য কিছু সেটিংস আছে যেমনঃ -সিস্টেমের টাইম ঠিক করা -হার্ডওয়্যার এর প্রোফাইল ফিচার পরিবর্তন করা (UEFI এর ফিচার) ইত্যাদি কারনে বায়োস এক্সেস করার প্রয়োজন হয়। আর সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০১১ সালে BBC এর তথ্য অনুযায়ী আমাদের এই বহুল আলোচিত Traditional BIOS সিস্টেমটি কয়েক বছরের মধ্যেই আমাদের কম্পিউটার থেকে অচিরেই হারিয়ে যাবে। যার পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে UEFI BIOS (Unified Extensible Firmware Interface) সিস্টেম। এর ফলে Traditional BIOS এর ২০-৩০ সেকেন্ডের পরিবর্তে কম্পিউটার চালু হতে সময় নিবে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। আসলে কি জানেন? বায়োস এর সিস্টেম নিয়ে ঘাটাঘাটি এবং এর অ্যাডভান্স সিস্টেম নিয়ে কাজ করে আপনিও হয়ে যেতে পারেন আপনার ঘরের কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ। 

UEFI BIOS ও Traditional BIOS কোনটি ভাল?

বায়োসের বর্তমানে দুটি জেনারেশনই চালু আছে ‍যদিও অচিরেই হয়তবা Traditional BIOS কথাটি হারিয়ে যাবে। UEFI BIOS এবং Traditional BIOS এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। কারণ আপনার কম্পিউটার ভেদে UEFI BIOS এবং Traditional BIOS এ এক্সেস করার নিয়ম এবং সেটিংস সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ দুটোর মধ্যে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য, যা প্রথমেই আপনার মনোযোগ আকর্ষন করবে তা হল UEFI BIOS এর মডার্ন ইন্টারফেস, যা কিনা অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি, নেভিগেটও করা যায় অনেক সহজে এবং এ ইন্টারফেসে আপনি আপনার মাউসও ব্যবহার করতে পারবেন। নিচে UEFI BIOS সিস্টেম এর একটি উদাহরন দেখানো হলঃ



অন্যদিকে UEFI BIOS সিস্টেম এর বিবেচনায় আমাদের Traditional BIOS সিস্টেম একটু বেশিই কঠিন এবং এর কনফিগারেশনও কিছুটা সীমাবদ্ধ। সবধরনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এই সুন্দর সিস্টেমটি অনেক বছর ধরে অনেক ডিভাইস এ ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।


কিন্তু প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে এর কিছু বড় ধরনের সীমাবদ্ধতার কারনে এটি আস্তে আস্তে মেয়াদোর্ত্তীর্ণ সিস্টেম এ পরিনত হয়ে গেছে, যেখানে প্রায় সব ব্র্যান্ডের ম্যানুফ্যাকচাররা তাদের ডিভাইস গুলোকে UEFI BIOS সিস্টেম এ আপগ্রেড করে নিচ্ছে। 

এছাড়াও UEFI BIOS সিস্টেমটিতে কিছু অ্যাডভান্স কনফিগারেশন ফিচারও যুক্ত করা আছে (যেমনঃ সিকিওর বুট)। উইন্ডোজ ৮ রিলিজ এর সাথে সাথেই UEFI BIOS সিস্টেমটি প্রথম আলোচনায় এসেছিল, আর এ কারনে খুব সম্ভবত আপনার কম্পিউটারটিও Traditional BIOS সিস্টেমই ব্যবহার করছে। যাইহোক আপনি যদি ফ্যামিলি গিক হয়ে থাকেন (মানে বাসায় বসে অনেক কম্পিউটার ঠিক করে থাকেন) তাহলে আরও কিছুদিন আপনাকে এটাই ব্যবহার করতে হবে।



বায়োসের কাজের স্তরসমুহ:

যোগাযোগ রক্ষাকারী হিসেবে পুরো কাজটি ৩ টি স্তরে হয়ে থাকে। ১ম স্তরে পিসি ওপেন হওয়ার আগে, বায়োস প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ এর পর, ওএস- এর ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দেয় ।  ২য় স্তরে ওএস যেকোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি বা ত্রুটির জন্য বায়োসকে সংকেত পাঠায় এবং ৩য় পর্যায়ে বায়োস সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়। কাজগুলো সম্পন্ন হয় অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে, এখানে একটি বাস্তব উদাহরণ দিলাম- যখন আমাদের সরিরের কোথাও মশা বসে, তখন মস্তিস্কের সুনির্দিষ্ট জায়গা থেকে সংকেত আসে, ” তোমার শরীরের অমুক জায়গায় মশা বসেছে ” । এরপর মস্তিস্ক এও বলে দেয় যে, ওই মশাটি মারতে হলে কোন হাত সুবিধাজনক। সর্বোপরি  সংকেত  পাওয়ার পর, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করি। এখানেও সার্বিক কাজগুলো এতটাই দ্রুত মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে ঘটে যে, আমরা বিন্দুমাত্রও ভাবিত হইনা।

বায়োস অকার্যকর বলতে কি বোঝায় ?
পিসি অন করার পর প্রথমেই কাজ শুরু করে বায়োস, পরবর্তীতে অপারেটিং সিস্টেম ও অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশান কার্যকর হয়। কিন্তু ধরা যাক, পিসি অন করার কিছুক্ষন পর বা ওপেন হওয়ামাত্রই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কিছুতেই পুরোপুরি ভাবে ওপেন হচ্ছেনা। অসময়ে স্ক্রীন ব্ল্যাক অবস্থায়, কোনো মেসেজ আসতেও পারে, হয়তোবা না আসতেও পারে। কিন্তু এটি নিশ্চিত যে, বায়োস ফেয়লিয়র বা অকার্যকর হয়েছে। বিভিন্ন কারণে এটি হতে পারে। এর অন্যতম কয়েকটি কারন হলো- 

       ক) পিসিতে ভাইরাস এর আক্রমণ। 
       খ) হার্ডওয়্যার এর যে কোনো যন্ত্রাদি অকার্যকর হওয়া। 
       গ)ওভারক্লকিং এর সমস্যা ইত্যাদি।

উল্লেখ্য যে, বায়োস কার্যকর না থাকলে, মাদারবোর্ডও কোনো কাজ করতে পারেনা। ফলস্বরূপ, পুরো কম্পিউটারটিই অচল হয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, বায়োস এর ক্ষেত্রে, এরকম সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, পিসির মাদারবোর্ডের বায়োস চিপটি রিপ্লেস বা পরিবর্তন করতে হয়। এজন্য আপনার পিসিটি রিপ্লেসমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেনট অথোরিটি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে।

ডুয়াল বায়োস কি ?

ডুয়াল বায়োস এর বৈশিষ্ট্য হল- এতে দুটি ফিজিক্যাল বায়োস-রম মাদারবোর্ডে একত্রিতভাবে সংযুক্ত থাকে। একটি প্রধান বায়োস এবং সাপোর্টিং বায়োস। প্রধান বায়োসে একটি চিপ সংযুক্ত থাকে। যা প্রাথমিকভাবে পিসিকে বুট করতে (পুরোপুরি ওপেন হওয়ার আগ-পর্যন্ত) কার্যকর ভূমিকা রাখে।


দ্বিতীয় চিপটি ব্যাকআপ বায়োস হিসেবে ভুমিকা পালন করে, এবং ডিফল্ট হিসেবে পিসিকে কার্যক্ষম রাখতে সার্বিক সহয়তা দেয়। এজন্য ২য় বায়োস রিকভারি করতে হয়। পিসির মাদারবোর্ডে ডুয়াল বায়োস থাকলে, যদি প্রাইমারি বায়োস নষ্ট হয়ে যায়, তখন পিসি বন্ধ হয়ে যায়। তখন ব্ল্যাক-স্ক্রীনে দ্বিতীয় বায়োসটি রিকভারি করবেন কিনা, এরকম অপশন আসবে। এভাবে দ্বিতীয় বায়োসটিকে কার্যকর করা যায়। এছাড়াও, যে কারণে পিসি বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক সেই কারন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। মূল কথাটি এই যে- প্রধান বায়োস কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেললে বা নষ্ট হয়ে গেলে, ডুয়াল বায়োসের ” বায়োস রিকভারি এজেন্ট ” তার একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে ২য় বায়োসটিকে প্রধান বায়োসের ভূমিকায় অবতীর্ণ করে। ডুয়াল বায়োস সমৃদ্ধ মাদারবোর্ড না থাকলে, মানে একটি বায়োস সমৃদ্ধ মাদারবোর্ড থাকলে, যদি ওই একটি বায়োস নষ্ট হয়ে যায়, তখন পিসিতে কোন কাজই করা যায়না। এমনকি পিসির অপারেটিং সিস্টেম (OS) কোন কিছুতেই ওপেন হবেনা। আর জানেনই তো, OS ছাড়া কম্পিউটারটিই অচল। তাই বায়োসকে কম্পিউটারের প্রাণ হিসেবে তুলনা করা হয়। ও-হ্যাঁ, এরকম অবস্থায় আপনার মাদারবোর্ডের বায়োস চিপটি পরিবর্তন করতে হতে পারে। কখনও কখনও এমন হতে থাকে যে, পিসি অন করার সাথে সাথে আপনা-আপনিই রিস্টার্ট নেয় বা শাট-ডাউন হয়ে যায়। তখন আপনাকে আপনার পিসিটি, ভাল কোন সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে গিয়ে নতুন করে বায়োস চিপ লাগিয়ে নিতে হবে। আর যদি ওয়ারেন্টি থেকে থাকে, তাহলে আপনার পিসিটি কতৃপক্ষের নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। আর মূল কথা হল, সিংগেল বায়োস সমৃদ্ধ মাদারবোর্ডে এসব নানা ধরনের বিড়ম্বনার সাথে সাথে , প্রয়োজনীয় কাজেরও মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। এমনটি হোক তা নিশ্চয় কেউ চাইবেননা। তাই বলা হয়ে থাকে, একটি কার্যকর ও স্মার্ট পিসির জন্য দরকার ডুয়াল বায়োস সমৃদ্ধ একটি মাদারবোর্ড। 

BIOS এ যেভাবে এক্সেস করতে হয়?

আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের কিছু নাও বুঝেন তারপরেও ইচ্ছে করলে আপনি ঢু মেরে আসতে পারেন আপনার কম্পিউটারের বায়োস সফটওয়্যারটি থেকে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে যেন কিছু পরিবর্তন না হয়ে যায়। যখন আপনার কম্পিউটার স্টার্ট হয়, একেবারে নির্ভুল ভাবে বলতে গেলে যখন আপনার মাদারবোর্ডের চিত্র সংবলিত স্ক্রিনটি ফুটে ওঠে অথবা পুরানো পিসি গুলোর ক্ষেত্রে যখন DOS (ডস) স্ক্রিনটি ফুটে ওঠে তখন কম্পিউটারের Delete key টি চেপে ধরে রাখলেই BIOS এ এক্সেস পাওয়া যায়। কিছু কিছু ব্রান্ড এর মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে এটা কাজ নাও করতে পারে কিন্তু যাইহোক ওখানে বলেই দেওয়া থাকবে যে BIOS এক্সেস করার জন্যে কোন সুইচটি চেপে ধরা লাগবে। বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত কিছু কম্পিউটারের বায়োস সেট আপ কী(Key) ফাংশন দেখানো হল-

আপনার কম্পিউটারটি কোন ব্রান্ডের তা দেখে সেই অনুযায়ী কাজ করুন।
 Acer (laptop) ==================== Esc, F12, F9
Asus (Laptop) ==================== Esc 
Asus (Desktop) ==================== F8 
HP (Laptop) ==================== F10, F9 
Dell (laptop) ==================== F2 
Samsung (Laptop) ================= F2, F10 
Lenovo (Laptop) =================== F12 
Sony Vio (Laptop) ================== F2, F8 
Toshiba (Laptop) =================== F12 

ডেস্কটপ মাদারবোর্ডের জন্য নিচের কি(Key) টাইপ করুন। 

AMI (American Megatrends)=========Press Del or Delete key when after powering on the computer. Some older motherboards that use AMI BIOS may prompt for the F1 or F2 key instead. 

Award Software (now part of Phoenix Technologies) ====== Press the Del key to enter the BIOS Setup Utility on nearly all AwardBIOS powered motherboards. Some older systems using Award's BIOS software asked for Ctrl+Alt+Esc to enter BIOS. 

DTK (Datatech Enterprises) ========= Press the Esc key to enter BIOS, right after powering on the PC. 

Phoenix Technologies(Phoenix BIOS, Phoenix-Award BIOS) ===== Press Del during the Power On Self Test, immediately after the computer starts. Many older Phoenix BIOS systems required Ctrl+Alt+Esc, Ctrl+Alt+Ins, or Ctrl+Alt+S to access 

BIOS. abit (BIOS) ============= Press Del while the PRESS DEL TO ENTER SETUP message is displayed to access the BIOS setup utility.

 ASRock(BIOS) ========== Press F2 right after the computer starts up. If you're still having troubles entering BIOS or can't figure out what company supplied the BIOS on your motherboard, here are some keyboard commands you might want to randomly try in addition to the any of the ones listed above: F3 ,F4, F10, F12, Tab Esc , Ctrl+Alt+F3 , Ctrl+Alt+Del , Ctrl+Alt+Shift+Del (using Del from the keypad),  Ctrl+Insert, Ctrl+Shift+Esc, Fn+[any "F" function key] (on some laptops)

তো অনেকক্ষণ বক বক করলাম আপনাদের সাথে । জানিনা কেমন লিখলাম, ভাল লাগলে এই পোস্টের একেবারে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। 

6 comments:

Unknown said...

ধন্যবাদ। অনেক কিছু শিখলাম এ লেখা থেকে।

Unknown said...

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

Unknown said...

ধন্যবাদ

শিশির said...

ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ। GRUB ও EFI সম্পর্কে লেখা আশা করছি

Honted Funy Man said...

আমি কোন কমেন্ট করবো না 🙋🤭

Unknown said...

অনেক ভালো লাগলো,ধন্যবাদ পোস্ট করার জন্য।

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages