আজ একটা অতি প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম সেটা হল আপনার কম্পিউটারকে কিভাবে ক্র্যাশ হওয়া থেকে রক্ষা করবেন । আপনার কম্পিউটারটিকে যদি নিয়মিত আপনি পরিচর্যা না করেন তাহলে একসময় দেখবেন আপনি একটা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই যেমন ধরুন আপনার কম্পিউটার উইন্ডোজ এর কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, ফোল্ডার, সিস্টেম কম্পোনেন্ট এর ক্ষতিসাধন। এই ক্ষতি অনেক সময় অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে দাঁড়ায় যখন আপনি আপনার গুরুত্বপুর্ন তথ্যগুলোকে আর ফিরে পাবেন না। আপনার কম্পিউটারের পরিচর্যায় আপনাকে যে সকল কাজগুলো করতে হবে তা হল---
১. নিয়মিত আপনার কম্পিউটার থেকে অব্যবহৃত এবং অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো মুছে ফেলুন। এটা আপনার কম্পিউটারকে কার্যকর এবং দ্রুত ভাবে অপারেট করতে সাহায্য করবে। অব্যবহৃত ফাইল গুলো আপনার মেমোরিকে দখল করে রাখে এবং ultimately সেটা আপনার কম্পিউটারকে Crash এর দিকে ধাবিত করে
২. নিয়মিত বিরতিতে cookies ফাইল গুলোকে পরিষ্কার বা মুছে ফেলুন। অধিকাংশ কম্পিউটারই cookies নির্ভর, তাই অনেক কম্পিউটার ব্যবহারিক ব্যবহারকারী এই cookies ফাইলকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। যে সকল কম্পিউটার ইউজার তাদের কম্পিউটারে cookies ডিজ্যাবল করে রাখেন তাদের ক্ষেত্রে এটি তেমন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় না । আসলে Cookies file কিছুটা অব্যবহৃত ফাইল এর মতই আপনার কম্পিউটারের মেমোরি কে দখল করে রাখে যেগুলো একসময় আপনার কম্পিউটারকে আকাশের দিকে ধাবিত করে।
৩. আপনার পিসি বা ল্যাপটপটিকে নিয়মিত বিরতিতে ডিফ্র্যাগ করুন। সপ্তাহে বা দুই সপ্তাহে একবার রিফ্রেস করলে আপনার কম্পিউটারে কোনরূপ সমস্যা হবে না। যখন আপনি নিয়মিত বিরতিতে defrag করবেন তখন কিন্তু আপনার এটি করতেবেশি সময় লাগবে না । কিন্তু যদি আপনি এই কাজটি অনেক দিন বিরতি নিয়ে করেন সেক্ষেত্রে এটি করতে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যেতে পারে । তো আপনি কিভাবে defrag করবেন? প্রথমে আপনার কম্পিউটারের ডেস্কটপের my computer/This PC এ ডাবল ক্লিক করুন। এর পর C Drive বা যে ড্রাইভে আপনি উইন্ডোজ দিয়েছেন সেটিতে রাইট ক্লিক করুন । ক্লিক করার পরে ড্রপডাউন মেনুতে প্রোপার্টিজ অপশন টি সিলেক্ট করুন । Properties অপশনে ডায়লগ বক্স হতে Tools ট্যাবটি সিলেক্ট করুন। এখান হতে Optizie and Defrage drive অপশনটিতে ক্লিক করে প্রসেস শুরু করুন।
৪. কখনো একসাথে অনেকগুলো প্রোগ্রাম রান করাবেন না । আপনি যখন আপনার পিসি বা ল্যাপটপ operate করছেন তখন খেয়াল রাখুন আপনি একই সময় যেন অনেকগুলো প্রোগ্রাম চালু না রাখেন। কারন, এতে করে আপনার সিস্টেমের উপর একটা overload পড়ে যাতে করে আপনার সিস্টেম হ্যাং হয়ে যেতে পারে বা সিস্টেম ক্র্যাশ করতে পারে।
৫. আপনার পিসি বা ল্যাপটপের সি ড্রাইভে অর্থাৎ যে ড্রাইভে উইন্ডোজ সেটআপ দিয়েছেন ড্রাইভটিকে যথেষ্ট পরিমাণে জায়গা ফাঁকা রাখুন। কম করে হলেও 500 mb জায়গা আপনাকে এখানে ফ্রি রাখতে হবে কারন আপনি যখনই কোন প্রোগ্রাম বা কখনো যখনই আপনার উইন্ডোজ রান করাবেন তখন সেটি কিন্তু আপনার c ড্রাইভের বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে রাখবে সে ক্ষেত্রে c ড্রাইভের স্পেস না পেলে আপনার পুরো সিস্টেমটি ক্র্যাশ করতে পারে। তো এই জন্য আমার পরামর্শ হলো যদি আপনার কম্পিউটারের গতি স্লো হয়ে থাকে বা আপনার c drive এর জায়গা কমে গিয়ে থাকে তাহলে আপনার অব্যাবহিত অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো c drive থেকে সরিয়ে ফেলুন।
৬. আপনার পিসি বা ল্যাপটপের virus protection সফটওয়্যারটিকে update রাখুন। প্রয়োজনে মার্কেট থেকে ভাল মানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার টি আপনার পিসিতে ইনস্টল করে রাখুন এবং নিয়মিত বিরতিতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেটিকে update করে রাখুন।
৭. আপনার পিসি বা ল্যাপটপ এ আপনি যে উইনডোজ টি রান করাচ্ছেন অর্থাৎ windows7, windows8, Windows10 যাইহোকনা কেন সেটি নিয়মিত বিরতিতে আপগ্রেড করে রাখুন অর্থাৎ যখনই আপনার উইন্ডোজ এর নতুন কোন আপডেট পাবলিশ হবে সেটিতে update করে রাখুন। তাহলে আপনার সিস্টেমটি আর আর কখনো ক্র্যাশ করবে না কারণ পুরনো সিস্টেমটি মূলত আপডেট না দেওয়ার কারণে ক্র্যাশ করে।
৮. আপনার শখের কম্পিউটারটি কি সবসময় ধুলি বালি থেকে ফ্রি রাখুন এবং পরিষ্কার রাখুন
৯. আপনার ডেস্কটপ টিকে একটি ভাল স্থানে রাখুন যেখানে যথেষ্ট পরিমাণে বাতাস চলাচল করতে পারে । যাতে করে আপনার সিস্টেমটি সবসময় কুল (Cool) থাকে। আবার আপনার পিসি বা ল্যাপটপ টিকে এমন কোন জায়গায় রাখবেন না যেটি ভেজা বা স্যাঁতসেতে। সবসময় শুষ্ক জায়গায় রাখুন ।
১০. আপনার ব্যবহৃত কম্পিউটারটি যদি ল্যাপটপ হয়ে থাকে তবে সেটিকে অবশ্যই সমতল এবং মসৃণ জায়গায় রাখবেন। কখনোই বিছানা-বালিশ এর উপরে রেখে চালাবেন না, তাহলে আপনার ল্যাপটপের পেছনে যে কুলিং ফ্যান রয়েছে সেটির যথেষ্ট পরিমাণে বাতাস যাবে না এবং সেটি বন্ধ হয়ে যাবে যার ফলে আপনার ল্যাপটপটি ক্রাশ করতে পারে বা হ্যাং হয়ে যেতে পারে।
১১. আপনার পিসি বা ল্যাপটপের সঙ্গে সম্পর্কিত power supply টি অবশ্যই Spak proof হতে হবে সামান্য পরিমাণে কোন রকমের Spark হলে আপনার মাদারবোর্ড নষ্ট হয়ে যেতে পারে সেক্ষেত্রে আপনি বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
১২. না বুঝে শুনে অপরিচিত কোন ঠিকানা থেকে আসা মেইল বা কোন ফাইল ওপেন করতে যাবেন না। কারণ তাতে ভাইরাস থাকতে পারে এবং আপনার পুরো সিস্টেমটিকে ক্রাশ করতে পারে
১৩. আর সিস্টেম ক্র্যাশ প্রতিরোধ করতে উপরের দেওয়া ভিডিও টিউটোরিয়ালটি দেখুন আর সেই মত কাজ করুন। আশা করি আপনার কম্পিউটারটি সুরক্ষিত থাকবে। সবাই ভাল থাকবেন আমার জন্য একটু দোয়া করবেন। যাতে আমি এভাবে আপনাদের জন্য কিছু একটা করতে পারি।
No comments:
Post a Comment