“আমি মনে করি যে, মধ্যপ্রাচ্য হবে নতুন ইউরোপ”- মোহাম্মদ বিন সালমান।
মধ্যপ্রাচ্যে যারা পশ্চিমাদের অনুসরণ করেন আর তাদের সংস্কৃতিকে ধারন করেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদীবাদের চরম সমর্থক আরও কারো কারো নিকট তিনি পরিচিত সেদেশের ইমাম মাহুদী হিসেবে। উসমানিয়া খিলাফতের(অটোম্যান সাম্রাজ্যের) কফিনে শেষ পেরেক ঠোকা আধুনিক তুরস্কের তথাকথিত জনক কামাল আতাতুর্কের চেয়েও যিনি উদারমনা এবং পশ্চিমাপন্থী। তিনি আর কেউ নন তিনি আমাদের ইসলামের পবিত্র ভুমি মক্কা ও মদীনার তথা সৌদি রাজবংশে উত্তরাধিকার বাদশা মোহাম্মদ বিন সালমান। মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদীবাদের ক্রীড়ানক। কে এই মোহাম্মদ বিন সালমান?
সৌদি রাজপরিবারের বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজের পুত্র তিনি। জন্ম ১৯৮৫ সালে রাজধানী রিয়াদে। রাজনীতিতে যোগদান করেন ২০০৭ সালে। ২০১৫ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। ২০১৭ সালের ২১ শে জুন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে দিয়ে ক্রাউন প্রিন্স উপাধী ধারন করেন। পশ্চিমা দুনিয়ায় তাকে এম বি এস নামে ডাকা হয়। প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, কুটনীতি ও সাম্রাজ্যবাদী দুনিয়ার প্রত্যক্ষ মদদে ধীরে ধীরে তিনি উঠে আসেন আন্তজার্তিক রাজনীতির রঙ্গ মঞ্চে। পথের কাঁটা দুরকরতে রাজপরিবারের নিজের ঘনিষ্ঠজনদের কাউকে গুম, কাউকে খুন আর কাউকে বা কারাগারে বন্দী করেছেন তিনি। কখনো সৌদি রাজপরিবারের কট্ট সমালোচক তা সেই যেই হউন না কেন তাকে খুন করতেও দিধা করেন নি এতটুকু।
|
নিহত জামাল খাশোগজি |
অতি সম্প্রতি মার্কিন মুল্লুকের অতি প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এর সাংবাদিক সৌদি বংশোদ্ভুত জামাল খাশোগজিকে খুনের দায় ও কাঁধে। কিন্তু তিনি এসব কিছূকে থোড়ায় কেয়ার করেন। রাষ্ট্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কারনে তিনি পশ্চিমা দুনিয়ায় তিনি পরিচিতি পান মি. এভরিথিং নামে। ২০১৬ সালের ২৫ শে এপ্রিল তারিখ মোহাম্মদ বিন সালমান ২০৩০ সালের মধ্যে তার ইসলাম বিরোধী এজেন্ডা প্যাকেজ নিয়ন প্রজেক্ট বাস্তবায়নের ঘোষনা দেন। তার এ ভিশন টুয়েন্টি থার্টিতে ইসলামী ভাবধারা ও মুল্যবোধে সমূলে বিনাশ করে সে স্থলে অর্থনৈতিক সংস্কার সহ পশ্চিমাদের আদলে পশ্চিমা ভাবধারার সাথে মিল রেখে একটি নিজস্ব শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক এজেন্ডার বাস্তবায়ন তিনি করতে চান। জাজিরাতুল আরবের সম্ভাবনাময় পবিত্র ভুমি থেকে বিশুদ্ধ ইসলামিক ভাবধারাকে ঝেটিঁয়ে বিদায় করে তিনি সেখানে মডারেট ইসলামের নামে আধুনিক ইউরোপের সর্বনাশা বস্তু ও ভোগবাদী শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাতে যাচ্ছেন।
তাই তার ভিশন ২০৩০ ইসলামের প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষনার সামিল। ভিশন ২০৩০ এর কতিপয় ইসলাম বিধ্বংসী প্রজেক্ট এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য তিনটি হলো-
১. রেড সী লাক্সারী রিসোর্ট প্রজেক্ট ঃ হেজাজ উপকূলের উত্তরাংশে উলমুস ও আলওয়াস এলাকার মাঝামাঝি অংশে তরুনদের বিনোদনের জন্য এক বিশাল সী বিচে এক বিশাল লাক্সারী রিসোর্টের প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তিনি।
|
রেড সী লাক্সারী রিসোর্ট প্রজেক্ট- ফোর্বস ম্যাগাজিন |
২. বিনোদন সেক্টরঃ বিনোদনের নামে সৌদি যুব সমাজকে ধ্বংসের জন্য পাশ্চাত্যের অবাধ যৌনাচারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন তিনি।
ক. ২০১৬ সালের মে মাসে সৌদি তরুনদের বিনোদনের জন্য ২ মিলিয়ন ডলারের একটি রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি করেন তিনি।
খ. ২০১৭ সালের মে মাসে মার্কিন গায়ক টবি কিথের সাথে সৌদি গায়ক রেবে সাগার যৌথ অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সৌদিরি ইতিহাসে প্রথম মিউজিক কনসার্ট।
গ. ২০১৭ সালের এপ্রিলে সোদি সরকার আল কেদিয়াতে ৩৩৪ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এক বিশাল ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মানের ঘোষনা দেন।
ঘ. ২০১৮ সালে রিয়াদে অনুষ্ঠিত লাইভ কনসার্টে প্রথমবারের মতো নারিদের উদ্যম নৃত্য ও গানের আয়োজন করা হয়। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায় ইউরোপকেও হার মানায় এই কনসার্ট।
৩. নারী অধিকারঃ
ক. ২০১৭ সালে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য স্কুলগুলোতে ক্রিড়া ও শরীর চর্চার ব্যবস্থা করা হয়। ঐ একই বছরে মেয়েদের ছেলেদের সাথে একই স্টেডিয়ামে খেলা দেখার খেলা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
খ. ২০১৬ সালে মেয়েদের ড্রাইভিংয়ের অনুমতি দিয়ে একটি রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি করা হয়। ২০১৮ সালের জুন মাসে যা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়।
গ. বর্তমানে নারীদের উপর পুরুষের অভিভাবকত্ব বাতিলের জন্য কাজ করছে বাদশা সালমান।
৪. শিক্ষা বিভাগঃ পাঠ্যক্রমেও আসছে ব্যপক পরিবর্তন । পশ্চিমা পন্থী শিক্ষাব্যবস্থার আলোকে পশ্চিমাকরণ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। মধ্যপন্থী ইসলামের নামে পাঠ্যবই হতে বাদ পড়তে যাচ্ছে ইসলামিক জিহাদের বিষয়টি। তায়েফ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো খোলা হচ্ছে মিউজিক শিক্ষার পাঠ। চলতি বছরে রিয়াদে খোলা হয়েছে মিউজিক ইনস্টিটিউশন। এভাবে গান বাজনার মতো হারাম কাজ কর্মের বিস্তার ঘটাচ্ছেন বিন সালমান।
৫. মূর্তি স্থাপনঃ বিন সালমান প্রগতির নামে মক্কা ও মদীনার দেশে মূর্তি স্থাপন করেছেন। জেদ্দায় তিনি স্থাপন করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাচু অব লিবার্টি। তাওহীদের দেশে মুশরিক হিন্দুদের গণেশের মূতি রেখে পুজাও করা হয়েছে ইতোমধ্যে।
|
ফেসবুক হতে সংগিহীত |
৬. হক পন্থী আলেমদেরকে গুম, খুন ও নির্যাতন: পশ্চিমা শাসকদের খুশি করতে বিন সালমান নিজ দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামাদের কাউকে গুম, কাউকে বছরের পর বছর আটকে রেখেছে, কাউকে বিচারের নামে প্রহসন করে খুন করা হয়েছে। কেউ কেউ আবার কারা প্রকোষ্ঠে বিচারের অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
৭. বিন সালমানের মুসলিম গণহত্যাঃ ২০১৫ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হওয়ার দুমাস পরে বিন সালমান ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের দমনে অপারেশন ডিসিসিভ স্টোর্ম নামে অদ্যবধি দরিদ্র পিড়ীত সেইদেশে চাপিয়ে দিয়েছে এক লক্ষ্যহীন যুদ্ধ। যার ফলে ইয়েমেনে দেখা দিয়েছে এক মহা মানবিক বিপর্যয়। সেখানে ইতোমধ্যে লক্ষ লক্ষ শিশু অপুষ্টি আর অনাহারে মারা গিয়েছে। আর এই মৃত্যুর মিছিলে প্রতিদিন যোগ হচেছ আর নতুন মুখ। আর একাজে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ক্রশেড়ার জোট। কি চাইছেন বিন সালমান?
৮. পৃথিবীর মধ্যে নির্যাতিত মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘর জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা। বলতে গেলে পুরো জিনজিয়াং প্রদেশ একটি উম্মুক্ত কারাগার। এমন পাশবিক নির্যাতন তাদের উপর চালানো হচ্ছে যা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। প্রায় ১০ লাখ মুসলমানকে ক্যাম্পে বন্দী রেখে তাদের উপর চালানো হচ্ছে পাশবিক নির্যাতন। আর বিন সালমান সেই চীন সফর করে সেদেশে সাথে সাক্ষর করেছেন বিলিয়ন ডলারের বানিজ্যিক চুক্তি। চীনকে দিয়েছেন উইঘর মুসলিমদের নির্যাতন চালানোর সাটিফিকেট। বাদশা সালমান বলেছেন সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়ার অধিকার চীনের রয়েছে। চীনের উইঘর মুসলিমদের বিরুদ্ধে এহেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে কথা বলছে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাড়া, ফ্রান্স, জার্মানী ও জাপান সহ মোট ২২ টি দেশ। এর জবাবে সৌদি আরব ও আমাদের মুসলিম ধ্বজাধারী পাকিস্তান সহ ৩৭ টি দেশ চীনের উইঘর মুসলিমদের উপর গৃহীত পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়ে চীনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছেন।
৯. কাফিরদের সাথে বন্ধুত্বঃ বিন সালমান বন্ধুত্ব স্থাপন করেছেন, বিশ্বের ইহুদী নাসারা ও মুশরিকদের সাথে। মুসলিম জাহানকে ইহুদীবাদের চারণভূমিতে পরিনত করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। ইসরায়েল আমেরিকার সঙ্গে বিন সালমানের গভীর সম্পর্ক এখন অনলাইন ও সংবাদ মিডিয়া জগতে হট টপিক। ইসরায়েল ও আমেরিকার ইশারা ছাড়া তিনি কিছুই করতে সক্ষম নন। ইহুদী খ্রিস্টান চক্রের তাগুতি সদস্য হিসেবে মুসলিম বিশ্বে তিনি এখন তান্ডব লীলা চালাচ্ছেন। এমন কি ফিলিস্তিন ইসরায়েলের সম্পর্কে তিনি বলেন ফিলিস্তিন ও ইহুদী হিসেবে প্রত্যেকের আপন আপন জায়গা রক্ষার অধিকার রয়েছে। কত জঘন্য মানসিকতার হলে তিনি একজন মুসলিম হয়ে একথা বলতে পারেন।
|
ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জারেড ক্রুসনার এর সাথে |
ইহুদীর রক্ষক আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিন সালমানের বর্তমান ইহুদী ঘেষা নীতিতে তিনি এতটাই খুশি যে, তিনি তাকে আমেরিকা ও ইহুদীর পরম বন্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ভারতের সাথেও বিন সালমানের এখন গভীর বন্ধুত্ব কারণ ইসরায়েলে সন্ত্রাসী প্রেসিডেন্ট বেন ইয়ামিন নেতা নিয়াহু মোদীজীর চরম ও পরম বন্ধু। একদিকে হিন্দুত্ববাদী এই মোদী কাশ্মীরের সাধীনতার রক্ষাকবচ ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মিরি জনগণের বিরুদ্ধে শোষণ ও নীপিড়ন চালাচ্ছে আর তাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য বিন সালমান নরেন্দ্রমোদী সরকারের সাথে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বানিজ্যিক চুক্তি করে তার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলছে।
মাইক ইভান নামে একজন ইহুদী নেতার কথায় বিন সালমানের আসল রুপ বেরিয়ে আসছেন তিন বলেন, “ এই নেতা (বিন সালমান) যে কোন কট্টর ইহুদীর চেয়েও ইহুদীবাদের সমর্থক” তিনি আরও বলেন “আমি আমিরাতের মোহাম্মদ বিন জায়েদের সাথে সাক্ষাত করেছি, সাক্ষাত করেছি সৌদি আরবের মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে, আমি আপনাদের এক আশ্চর্যজনক বিষয় বলতে যাচ্ছি আরবের এই নেতারা অনেক ইহুদীর চেয়েও আরও বেশি ইসরায়েলে সহযোগী প্রো ইসরায়েল। সৌদি যুবরাজের সঙ্গে আমার যখন সাক্ষাত হয় তখন আমি তাকে বলি ইহুদী খ্রিস্টান সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তিনি আমাকে বললেন, আহ! আমি তো উভয় জাতিকেই ভালবাসি” আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন? তিনি বললেন কারণ আমার মা একজন ইহুদী। আমি বললাম কি বলছেন এসব, তিনি বললেন আমাকে যিনি লালন পালণ করেছেন তিনি ছিলেন একজন ইথিওপিয়ান ইহুদী। দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা যাবত ইসরায়েল নিয়ে মোহাম্মদ সালমানের কাছ থেকে মনোমুগ্ধকর কথা শুনি। বিন সালমান আরও বলেন আমি হোয়াইট হাউস ও প্রেসিডেন্টকে এ ব্যাপারে বলবো, বিন সালমানের এসব কথা শুনলে আপনার মন পুলকিত হয়ে উঠবে আনন্দে যে, এ মানুষটি কিভাবে চিন্তা করে ইসরায়েল নিয়ে। তার একটি স্টেটমেন্ট এমন; আমি বললাম ফিলিস্তিনিদের কী করনীয়? বিন সালমান বললেন এটার সমাধান খুব সহজ, তাদের করনীয় হচ্ছে ইসরায়েলে কথামত চলা। এটাতেই সমাধান। মুসলিম বিশ্বে ইহুদীবাদের ক্রীড়ানক মোহাম্মদ বিন সালমানের অনেক দালাল রয়েছেন যাঁরা মুসলমানের লেবাস ধরে ইহুদীদের পক্ষ হয়ে বিভিন্ন সরকারকে কুপরামর্শ দেয়। পেট্রো ডলার দিয়ে সে বিভিন্ন মুসলিম দেশে তিনি তার মতাদর্শের কিছু সুন্নতি লেবাস ধারী মওলানা পোষেন যাদের কাজ হচ্ছে কেবল শাসক গোষ্ঠীর আনুগত্যের পক্ষে সাফাই গাওয়া বা সর্বাবস্থায় তাগুতের গোলামের শিক্ষা প্রচার করা। মুসলিম মিল্লাতের একমাত্র মুক্তির পথ জিহাদের দিক হতে মানুষকে বিমুখ করে রাখা। ইসলামের পক্ষে যারা আজ মাঠে যুদ্ধরত তাদের বিপক্ষে কুৎসা রটানো তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা।
নারী লোভী ও মদ্যপ বিন সালমানঃ সৌদি রাজপরিবারের সদস্য হয়েও যিনি নারী ও মদ ছাড়া একমহুর্ত চলতে পারেননা তিনি আর কেউনন তিনি আমাদের মুসলমানদের মাথার তাজ, মুসলমানদের ধ্বংসের কিনারে নিয়ে অট্টহাসি দেওয়া আমাদের প্রিয় মোহাম্মদ বিন সালমান। হায়রে জালেম বাদশা মোহাম্মদ বিন সালমান সারা বিশ্বের অত্যাচারী শোষিত নির্যাতিত মুসলমানদের রক্ত নিয়ে আর কতদিন মোদীি আর নেতানিয়াহুর সাথে হোলির আনন্দে মাতবে। ........
No comments:
Post a Comment