Infotech Ad Top new
Infotech ad post page Top
কপিরাইট হল কোন সৃষ্টিশীল কর্মের অবদান রাখার জন্য এটির প্রকৃত মালিককে দেওয়া একচেটিয়া অধিকার যার দ্বারা সে তার নিজের কর্মের প্রকৃত মালিকানা দাবি করতে পারে। সৃষ্টিশীল কাজ বলতে সেটি হতে পারে কোন সাহিত্যকর্ম, শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো কর্ম, অথবা সংগীত কর্ম। এককথায় কপিরাইট বলতে আমরা বুঝি এমন একটি রক্ষাকবচ কে যে রক্ষাকবচ সৃষ্টকর্মটির প্রকৃত মালিককে তার কর্মটি কে কিভাবে ব্যবহার করতে পারবে তা বলার অধিকার দেয়। কপিরাইট আইন তাই প্রকৃত মালিক কে তার সৃষ্টি কর্মের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের একটি বিশেষ সুযোগও করে দেয়। তাই কপিরাইট কৃত কোন বস্তু বা বিষয় কঁপিরাইট Owner এর পারমিশন ব্যতীত কেউ সেটিকে ব্যবহার করতে পারে না।
এই আইনের আওতায় কপিরাইট Owner তার সৃষ্ট কর্মটিকে অন্যকে ব্যবহার করার অনুমতি দিলে তবেই সেটিকে ব্যবহার করা যাবে অন্যথায় নয়।
একজন কপিরাইট owner সারা জীবনব্যাপী তার সৃষ্ট কর্মটি স্বত্বাধিকার লাভ করে। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরাধিকারগণ 50 থেকে 100 বছর পর্যন্ত ওই সৃষ্ট কর্মের স্বত্বাধিকার লাভ করে। এটিই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কপিরাইট আইন। অনেক দেশ তাদের নিজেদের দেশের পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে মিল রেখে কপিরাইট আইন আপডেট করলেও তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই আইনটির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রেখেই করে।
কপিরাইট আইন হলো Owner এর সৃষ্টিশীল কাজকে রক্ষার বৈধ উপায় যা তার মালিককে কর্মটির প্রকাশনা, ডিস্ট্রিবিউশন এবং ইউজাগ রাইটসের একচ্ছত্র অধিকার দেয়। কপিরাইট দ্বারা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট যেমন বই রচনা, কবিতা, খেলা, সংগীত, চলচ্চিত্র এবং শিল্পকর্ম প্রকৃতির প্রকৃত মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। যা বর্তমান ডিজিটাল জামানা কি আরো বেশি স্থিতিশীল করেছে।
বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের এই যুগে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। তথ্য আদান-প্রদান বলতে এখানে তথ্যের হুবহু কপি বা নকল করা কে বোঝায় না। ইউটিউব যেমন তথ্যের অবাধ প্রবাহ কে সমর্থন করে তেমনি কোন সৃষ্টকর্ম কে নিজের বলে চালিয়ে দেওয়াটা কে প্রবল ভাবে নিরুৎসাহিত করে। তাই কপিরাইট আইন টিকে ইউটিউবে যথাযথভাবে মেনে চলা হয়। এটিকেই ইউটিউবের কপিরাইট বলা হয়ে থাকে।
ইউটিউবে কোন কনটেন্ট ব্যবহারের সময় আপনাকে নিচের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ এগুলোই কপিরাইটের আওতায় পড়ে যেমন-
⚾ অডিও ভিজুয়াল কন্টেন্ট: যেমন টিভি শো, মুভি, অনলাইন ভিডিও ইত্যাদি।
⚾ সাউন্ড রেকর্ডিং এবং বিভিন্ন সংগীত
⚾ বিভিন্ন লিখিত বা রচিত কর্মসমূহ: যেমন কারো লেকচার, কোন ব্যক্তির লেখা আর্টিকেল, বই কার লেখা গান
⚾ ভিজুয়াল ওয়ার্কস: যেমন কোন চিত্রকর্ম, পোস্টার,
বিজ্ঞাপন ইত্যাদি
⚾ বিভিন্ন প্রকারের ভিডিও গেম, কম্পিউটার সফটওয়্যার, পেইড মোবাইল অ্যাপ ইত্যাদি।
⚾ নাট্যকর্ম যেমন বিভিন্ন নাটক, সঙ্গীত ইত্যাদি।
তবে যে সকল কর্মে আপনার নিজস্ব চিন্তা ধ্যান-ধারণা বা কোন প্র্যাকটিকাল শিক্ষণীয় কাজ প্রদর্শিত হয় সেগুলো কপিরাইট আইনের আওতায় পড়ে না।
দেখুন ইউটিউবে কোন কপিরাইটেড কন্টেন্ট ব্যবহারের কোন সহি শুদ্ধ নিয়ম নেই। তবে ইউটিউব এ ফেয়ার ইউজ পলিসি নামে একটি অপশন রাখা হয়েছে যেটির আন্ডারে আপনি সীমিত পরিসরে কিছু কপিরাইটেড কনটেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রেও ইউটিউব কপিরাইট owner এর দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এমনটি ঘটলে আপনাকে শেষ পর্যন্ত কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে। কথা দিলাম ফেয়ার ইউজেজ নিয়ে আমি আরেকদিন আরেকটি পোস্ট দিব। এছাড়াও আপনি কারো কপিরাইটেড কনটেন্ট ব্যবহারের জন্য আপনি উক্ত কনটেন্টের প্রকৃত মালিকের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে সেটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রেও কথা থেকে যায় যিনি আপনাকে অনুমতি দিচ্ছেন, পরবর্তীতে তিনি যদি তার সিদ্ধান্ত বদলে আপনার বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন সেক্ষেত্রে আপনি ধরা খাবেন। তাই আমার পরামর্শ হচ্ছে ইউটিউব এর ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড আপনি যদি কোন অডিও, মিউজিক, সাউন্ড ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি ইউটিউব এর অডিও লাইব্রেরি থেকে ইউটিউব এর নিজস্ব মিউজিক ট্র্যাক গুলো ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে।
এর উত্তর হলো না। ইউটিউব কখনোই কোন কোন কপিরাইট কনটেন্ট ব্যবহারকারী এবং কপিরাইট কনটেন্টের মালিকের মধ্যে মধ্যস্থতা করে না। ইউটিউব যখন কপিরাইট কনটেন্ট এর প্রকৃত মালিকের নিকট থেকে বৈধভাবে অভিযোগ পাই তখনই কেবল উক্ত কনটেন্ট কে ইউটিউব থেকে অপসারণ করে এবং ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে নোটিফিকেশন পাঠায়।
না, কথা দুটি শুনতে একরকম মনে হলে ও শব্দ দুটি আসলে বিভিন্ন অর্থ বহন করে। একটু উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক মনে করুন আপনি এবং আপনার গার্লফ্রেন্ডের কোন গোপন মুহূর্তের ছবি আপনার পরিচিত কেউ ক্যামেরায় তুলে সেদিকে ইউটিউবে আপলোড দিল।
সেক্ষেত্রে আপনি বা আপনার গার্লফ্রেন্ড কেহই কিন্তু উক্ত কনটেন্টের কপিরাইট দাবি করতে পারে না। তবে আপনারা দুজন চাইলে আপনারা দুজন বা একজন যে কেউ প্রাইভেসি লঙ্ঘনের দায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
আসুন দেখি কি কি কথা প্রচলিত আছে সেগুলো আগে জেনে নিই তারপর সেগুলো কি আমার উপরের লেখার সাথে মিলাই এবং বুঝেনি সেগুলো কতটুকু সঠিক আর কতটুকু বেঠিক!
📘 "যা কিছুই ইউজ করেন না কেন সে জন্য কপিরাইট হোল্ডারকে ক্রেডিট দিলেই হল"- আপনি যদি এই নীতির উপর ইউটিউব ভিডিও মেক করেন তবে আমি নিশ্চিত আপনি ধরা খাবেন।
📘 "আপনি যেকোন ভিডিও কনটেন্ট ব্যবহার করতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রে 'non profit' বা 'entertainment purpose' কথাটি উল্লেখ করবেন"- ফেয়ার ইউজাগ পলিসিকে ঢাল বানিয়ে সব সময় যদি আপনি কাজটি করতে থাকেন তবে আমি নিশ্চিত আপনাকে এক সময় কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে।
📘 অন্যান্য ভিডিও ক্রেতারা তো হরহামেশাই কপিরাইটেড কনটেন্ট ব্যবহার করেন তাহলে আমি পারব না কেন? - এই যুক্তির একটা জবাব হ্যাঁ করুন তারা বিষ খেলে আপনিও খান। তবে আত্মহত্যা মহাপাপ!
📘 iTunes, CD অথবা DVD বাজার থেকে কিনে আপনি সেই কনটেন্ট ইউটিউবে ব্যবহার করতে পারবেন- তার থেকে ভালো হয় আপনি বাজার থেকে বিষের বোতল কিনে রাত্রে শোয়ার আগে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
📘 টিভি শো, মুভি থিয়েটার এবং রেডিও থেকে যেকোন প্রোগ্রাম বা কনটেন্ট রেকর্ড করে আপনি তো youtube-এ ছাড়তে পারবেন- হ্যাঁ আমরা বাঙালিরা বিশেষ করে বাংলাদেশিরা এই কাজে ওস্তাদ। বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকে বিভিন্ন কন্টেন্ট রেকর্ড করে আমরা হরহামেশাই সেগুলো ইউটিউবে দিয়ে থাকি। এগুলো টিভি চ্যানেলগুলোর বদান্যতা। যদি কখনো তারা ঐ সকল চ্যানেল গুলোর উপরে কপিরাইট ক্লেইম করে তবে একসাথে হাজার হাজার চ্যানেল স্ট্রাইক খাবে। এতে কোন সন্দেহ নেই।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝেছেন ইউটিউবে যে গুজবলো প্রচলিত রয়েছে সেগুলোর ভিত আসলে কতটুকু শক্ত।
তবে ইউটিউবে ফেয়ার ইউজাগ পলিসির আন্ডারে সীমিত পরিসরে আপনি কিছু কপিরাইটেড কন্টেন্ট শর্তসাপেক্ষে ব্যবহার করতে পারেন এটি নিয়ে আমি অন্য একদিন আলোচনা করব।
উত্তর: কপিরাইট স্ট্রাইক পেলে যে ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক পেয়েছেন সেটি কখনোই ডিলিট করবেন না। এমনটি করলে আপনি আরো বেশি করে সমস্যায় পড়বেন।
উত্তর: দেখুন প্রথমবারের মতো স্ট্রাইক খাওয়া আসলে একটা ওয়ার্নিং। আপনি ওয়ার্নিং মেসেজ এর উপরে ক্লিক করলেই আপনাকে কপিরাইট স্কুলে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে কপিরাইট সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিতে হবে। যারা কপিরাইট স্কুলের প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে জানেন না তাদের জন্য আমার একটি টিউটোরিয়াল রয়েছে সেটি দেখে আসতে পারেন।
কপিরাইট স্ট্রাইক থাকা অবস্থায় আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করলে আপনার আবেদন গ্রাহ্য নাও হতে পারে। আপনার চ্যানেল থেকে বিশেষ কিছু সুবিধা উঠিয়ে নেয়া হতে পারে এবং তা 90 দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকতে পারে। নতুন করে আর স্ট্রাইক না পেলে 90 দিন পর আপনার কনটেন্ট থেকে স্ট্রাইক রিমুভ করা হবে।
উক্ত 90 দিনের মধ্যে পরপর তিনটি স্ট্রাইক পেলে-
😬 আপনার ইউটিউব একাউন্ট টারমিনেট করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব একাউন্টে যতগুলো চ্যানেল আছে সবগুলো চ্যানেলেই এতে ইফেক্টেড হবে।
😬 আপনার ইউটিউব একাউন্ট টা আপলোড করার সমস্ত ভিডিও রিমুভ করে দেওয়া হবে।
😬 আপনি নতুন করে আর কোন ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন না।
দেখুন আপনার চ্যানেলটি যদি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের আওতায় মনিটাইজড থাকে। তবে সেক্ষেত্রে আপনার চ্যানেল তিনটা কপিরাইট স্ট্রাইক পাওয়ার পরেও 90 দিনের অতিরিক্ত আপনাকে 7 দিন সময় দেওয়া হবে। দেখনি সাত দিনের মধ্যে আপনার চ্যানেলে স্ট্রাইক উঠে যাবে না এবং আপনি নতুন করে কোন ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন না তবে, আপনার চ্যানেল টি সচল থাকবে যাতে করে আপনি স্ট্রাইক এর ব্যাপারে কোনো সুরাহা করতে পারেন। এটি আসলে একটা রোগীকে আইসিইউ ইউনিট এ পাঠানোর মত।
দেখুন কপিরাইট ইস্যুটিকে সলভ করার জন্য তিনটা উপায়ে আপনার হাতে রয়েছে যেমন-
😩 কপিরাইট স্ট্রাইক উঠে যাওয়ার মেয়াদ পর্যন্ত অপেক্ষা করা। প্রথমবারের মতো কপিরাইট স্ট্রাইক খেলে আপনাকে কপিরাইট ইস্কুলের প্রশ্নগুলো উত্তর দিতে হবে।
😩 কপিরাইট ক্লেইম উইথড্র করার জন্য আবেদন: যে ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক প্লেন করেছে তার সঙ্গে কন্টাক্ট এর মাধ্যমে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নিতে বলা।
😩 counter-notification সাবমিট করা: যদি আপনি মনে করে থাকেন যে ইউটিউব ভুলবশত আপনাকে কপিরাইট স্ট্রাইক দিয়েছে তবে আপনি counter-notification সাবমিশনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
Tags
# ইউটিউব
Share This
About Goljar- The Patroblogger
ইউটিউব
Ярлыки:
ইউটিউব
Infotech Post Bottom Ad New
Author Details
ইনফোটেকলাইফ.কম এর তালিকা ভুক্ত একজন লেখক ও কলামিস্ট।
তাঁর লেখা আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্টস করে দয়া করে আমাদের উৎসাহিত করবেন। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখকের বিরুদ্ধে তাঁর লেখা নিয়ে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে আপনি আমাদের অভিযোগ ডেস্ক-এ অভিযোগ করতে পারেন। ইনফোটেকলাইফ.কম কোন লেখকের বিতর্কিত লেখার দায়ভার বহন করেনা। তবে আপনার করা অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে উক্ত লেখককে অস্থায়ী কিংবা গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ইনফোটেকলাইফ.কম এর সাথে যুক্ত থাকতে নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে Join,Like ও Follow করুন।
তাঁর লেখা আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্টস করে দয়া করে আমাদের উৎসাহিত করবেন। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখকের বিরুদ্ধে তাঁর লেখা নিয়ে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে আপনি আমাদের অভিযোগ ডেস্ক-এ অভিযোগ করতে পারেন। ইনফোটেকলাইফ.কম কোন লেখকের বিতর্কিত লেখার দায়ভার বহন করেনা। তবে আপনার করা অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে উক্ত লেখককে অস্থায়ী কিংবা গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ইনফোটেকলাইফ.কম এর সাথে যুক্ত থাকতে নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে Join,Like ও Follow করুন।
No comments:
Post a Comment